শরীরের অন্যান্য অংশের মত মুখেও টিউমার হতে পারে। মুখের হাড়, নরম টিস্যু যেমন জিহ্বা, কিছু লালা গ্রন্থি- এসব বিভিন্ন স্থানে টিউমার হতে পারে। চোয়ালের টিউমার এর মধ্যে অন্যতম। কিছু টিউমার অনেকদিন ধরে থাকে, আবার কিছু টিউমার অল্প দিনের হয়। আবার কিছু লালা গ্রন্থির টিউমার থাকে। আবার মুখের যে রক্তনালি সেখানেও টিউমার হতে পারে। এরপর আমাদের গালে যে চর্বি থাকে সেখানেও টিউমার হতে পারে। মুখে বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের টিউমার হতে পারে। মুখের টিউমারের বেশ কিছু লক্ষণের মধ্যে প্রথম দিকে যেই লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হচ্ছে মুখের ভেতর কোন অংশ ফুলে যাওয়া। যখন এই ফোলা অংশ মুখের কোনো গুরুত্বপূর্ণ গঠনের ওপর চাপ দেয়, তখন ব্যথা শুরু হয়। আবার কিছু সংখ্যক রোগীর অনেক সময় ধিরে ধিরে বড় হতে হতে এত বড় টিউমার হয়ে যায় যে, চোখ ছোট হয়ে আসে বা চোখ বন্ধ হয়ে আসে। তখন এই টিউমার রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
টিউমার সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটা বিনাইন টিউমার। যেটা তুলনামুলক কম ক্ষতিকর। এটি হলে ৫-১০ বছর ধরে রোগীর চোয়াল ফুলে থাকে। ধীরে ধীরে ওই ফুলাটা বাড়তে থাকে। এই একটি টিউমার যাকে বিনাইন টিউমার বলা হয়। আর কিছু আছে ম্যালিগনেন্ট টিউমার। ওগুলো খুবই ভয়ের। ইতিহাস কম দিনের থাকে। এমনকি রোগী বোঝার আগেই হয়তো খুব খারাপ দিকে চলে যায়। এই ধরনের টিউমার মুখে বা মুখের আশপাশের গঠনে হতে পারে। অনেক দাঁত যদি চোয়ালের ভেতর থাকে, সেক্ষেত্রে কিছু সিস্ট বা টিউমার হয়ে থাকে। এছাড়াও কারো যদি জর্দা পান, সুপারির অভ্যাস থাকে, এই ক্ষেত্রেও কিছু কিছু টিউমার হয়ে থাকে।
মুখের টিউমারের ধরন এবং বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। সঠিক পদ্ধতিতে অপারেশন করলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর সম্পূর্ণ সুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে এবং মুখের গঠনও স্বাভাবিক করে দেয়া সম্ভব হয় ।মুখের টিউমারের লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবহেলা না করে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।