বাচ্চাদের পেষন দন্ত সমস্যা

বাচ্চাদের মুখে সাধারণত ২০টি দুধ দাঁত থাকে।  ৫/৬ বৎসর বয়স থেকে দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে স্থায়ী দাঁত উঠা শুরু হয়। ঠিক এই সময়ে স্থায়ী দাঁতগুলারে র্সবশেষ প্রান্তে উপরের ও নিচের চোয়ালে মুখের উভয়দিকে একটি করে মোট ৪ টি স্থায়ী দাঁত উঠে যা প্রথম স্থায়ী পেষন  দন্ত’(First permanent molar ) নামে পরচিত। এই দাঁতটি  চওড়া আকৃতির  এবং খাদ্য পেষনের জন্য অধিক গুরুত্বর্পূণ। যেহেতু এই দাঁতটি কোন দুধ দাঁতকে প্রতিস্থাপন করে উঠে না এবং সাধারণত ৫/৬ বৎসর বয়সে মাড়িতে গজায় তাই মা-বাবা মনে করনে এটিও দুধ দাঁত। এই বয়সে যেসব বাচ্চাদের নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাস থাকে না দাঁতের যত্ন নেয় না তাদের ক্ষেত্রে  স্থায়ী দাঁতটিই প্রথম আক্রান্ত হয়। যদিও বা আক্রান্ত দাঁতটি মা-বাবার চোখে পড়ে ‘এটি দুধ দাঁত, কিছু দিন পর তা পড়েই যাবে এই ধারণা নিয়ে আর ডাক্তারের পরার্মশ নেন না। কিন্তু তারা জানেন না ঠিকি এই সময়েই ডাক্তারের পরার্মশ নিলে সুন্দর ভাবে একটি স্থায়ী দাঁতকে রক্ষার ব্যবস্থা করা যেত। দন্তক্ষয় যখন বেড়ে যায় বাচ্চারা প্রথম প্রথম দাঁতের র্গতে খাবার ঢুকলে ব্যথা হয় অথবা দাঁত শির শির করে এই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে। এই র্পযায়ে অনেক মা-বাবা বাচ্চাদের নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন এবং এটি স্থায়ী দাঁত এ কথা শুনে অবাক হয়ে পড়েন। ক্ষেত্র বিশেষ তখন  ফিলিং, রুট ক্যানেল চিকিৎসা  এবং ক্যাপ করে দাঁত রক্ষা করার ব্যবস্থা করা যায় । কিন্তু কোন কোন মা-বাবা বাচ্চাদের এমন সময় চিকিৎসার  জন্য নিয়ে আসেন যখন দাঁতটির অধিকাংশই ক্ষয় হয়ে যায়, মাড়ি ফুলে যায় বা মুখ ফুলে যায়। এই র্পযায়ে দাঁতটিকে সংরক্ষণ করা নিতান্তই কঠিন হয়ে পড়ে যার ফলে অল্প বয়সেই দেখা যায়, যে স্থায়ী দাঁতটি খাদ্য পেষনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা বাচ্চারা হারিয়ে ফেলে। যা পরবর্তি বয়সে অনেকের ক্ষেত্রে পাশের দাঁতগুলোর উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রত্যেক মা-বাবারই উচিৎ সাধারণত ৬ বৎসর বয়সে দুধে দাঁতগুলারে সর্বশেষ প্রান্তে যে স্থায়ী দাঁতটি উঠে তার দিকে যত্ন নেয়া, সামান্য কালোদাগ দেখলেই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

  • Call us: 01611-606095
    Others: 01819-208670
  • Click to Chat
    Scroll to Top